শুক্রবার, ২০ Jun ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
নিখোজের ২৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি মাদ্রাসা ছাত্রের

নিখোজের ২৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি মাদ্রাসা ছাত্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নিখোঁজের ২৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র ইসমাঈল হাওলাদার মিদুলের (১৫)। নিখোঁজ মিদুল জেলার গৌরনদী উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের মনিরুজ্জামান হাওলাদারের পুত্র। সে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুর গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ শাখায় অধ্যয়নরত ছিলো।
নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা মনিরুজ্জামান হাওলাদার জানান, রমজানপুর গ্রামের জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় তার দুই পুত্র ইসমাঈল হাওলাদার মিদুল (১৫) ও গোলাম মহিয়ান (৯) হেফজ শাখায় অধ্যায়নরত। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে মিদুলের মা মাদ্রাসায় পৌঁছে ছেলেদের সাথে কথা বলে টাকা-পয়সা দিয়ে আসেন। ওইদিন রাতেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয় মিদুল। পরদিন সকালে মাদ্রাসার এক শিক্ষক মিদুলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তাকে জানায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর মিদুলকে না পেয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর কালকিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন তিনি (মনিরুজ্জামান)।
তিনি আরও জানান, মিদুল নিখোঁজ হওয়ার পরদিনই ওই মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষক মাওলানা ফোরকান মাদ্রাসা থেকে চলে যায়। ওই শিক্ষকের নম্বরে দুইদিন যোগাযোগ করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি ওই মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেনের কাছে পুত্র হারানোর বিষয়ে চারদিন ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। পুত্রকে খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকরা কোন সহযোগিতা না করায় মাদ্রাসা ছাত্র ইসমাঈল হাওলাদার মিদুলকে শিক্ষকরাই গায়েব করেছেন বলেও তিনি (মনিরুজ্জামান) উল্লেখ করেন। পুত্রকে ফিরে পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ওই মাদ্রাসার হেফজ শাখার শিক্ষক মাওলানা ফোরকান জানান, ঘটনার দিন নিখোঁজ ওই ছাত্রের মা মাদ্রাসায় আসেন এবং মিদুলকে হেফজ শাখায় পড়ার জন্য চাপপ্রয়োগ করেন। এনিয়ে মিদুলের সাথে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বোডিং খরচের টাকা দিয়ে চলে যান মিদুলের মা। ছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক মাওলানা জাকির হোসেন জানান, নিখোঁজ ছাত্রটি হাফেজি পড়তে চাইছিলো না। কিন্তু ঘটনার দিন ওই ছাত্রের মা মাদ্রাসায় এসে ছেলেকে হাফেজি পড়ার জন্য প্রয়োগ করেন। যার ফলে ছেলেটি পালিয়ে যেতে পারে বলে তিনি ধারনা করেন। তবে ছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে তাদের কোন সংশ্লিষ্ট নেই বলেও উল্লেখ করেন। এবিষয়ে ডায়রী তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার এসআই দিবাকর সরকার জানান, ছেলেটিকে খুজে পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com